বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ দূর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি ভাবে হাইটেক পার্ক হচ্ছে। সরকারি হাইটেক পার্ক গুলোতে স্টার্টআপ কোম্পানী গুলোকে আলাদা জয়গা দেওয়া হয়। সরকারি বেসরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানী গঠন হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে এতে সন্দেহ নেই। দেশের ই-কমার্স সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে। মানুষ দিনে দিনে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হচ্ছে। দেশে সার্চ ইংলিশ, পাঠাও, চালডাল, শপআপ, সেবার মতো অনেক গুলো স্টার্টআপ দৃশ্যমান হয়েছে। সবকিছুর সমন্বয়ে দেশের স্টার্টআপ কালচার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি গুলোতে “ই-কমার্স ক্লাব” সিরিয়াস ভাবে নিতে পারলে সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের স্টর্টআপ মাইন্ডসেট গড়ে উঠবে। এই ক্লাবে উদ্যোক্তা থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিভিন্ন সমস্যা থেকে আইডিয়া বা সমাধান বের করতে পারবে এবং তা শুরুতে ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তাদের মাঝেই ডেলিভারি করতে পারবে। এতে করে তারা ফিডব্যাক পেয়ে পেয়ে সামনে আগাতে পারবে এবং সংস্করণ করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ হবে। এতে ব্যর্থ হলেও হতাশা আসবে না। বাকি সেমিস্টার গুলোতে আইডিয়ার পিছনে আরও বেশি সময় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবে। এরফলে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ থাকতে হবে না
আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যেহেতু বিভিন্ন সেমিস্টারে থাকা অবস্থায় এসব আইডিয়া নিয়ে কাজ করবে তাই ব্যর্থ হলেও হতাশা হওয়া সম্ভাবনা কম থাকবে। কারণ তারা আইডিয়ার পিছনে আরও সময় দিতে পারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সেমিস্টার গুলোতে। ইউনিভার্সিটিতে থাকা অবস্থায় তাদের ক্যারিয়ার জার্নি শুরু হয়ে যাবে। তাই গ্রাজুয়েশন শেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ থাকতে হবে না। আমি মনে করি, এখনি সময় ইউনিভার্সিটিতে “ই-কমার্স ক্লাব” কে সিরিয়াস ভাবে নেওয়ার।
লেখক : মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা- আওয়ার শেরপুর।