প্রাচীন স্থাপনা:-রথ মন্দির পুঠিয়া।
আরিফা মডেল অনুসরণ করে নিজ জেলার অনেক কিছু জানতে পারছি।
আগে নিজ জেলার অনেক কিছু জানতাম না।আরিফা মডেল অনুসরণ করে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
আরিফা মডেল অনেক কাজের ও গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে মনে হয়।
যে কোন দেশ বা জেলার অর্থনৈতিক আয় নির্ভর করে সেই দেশের পর্যটন শিল্প বা প্রাচীন স্থাপনা গুলোর উপর।তাই আমাদের উচিত নিজ জেলা নিয়ে জানা এবং সবাই কে জানানো। আরিফা মডেলের একটা ভালো দিক হলো নিজের প্রফাইলে লিখা আর আরিফা আপু কে ট্যাগ করা।এর ফলে যা হয় তা হলো নিজের প্রফাইলের ফ্রেন্ড এবং আরিফা আপুর প্রফাইলের ফ্রেন্ড তারা জানতে পারলো।এভাবে অনেকের কাছে নিজ জেলার পোস্ট গুলো যায় এবং চোখে পড়ে।
এখন আমি রাজশাহী জেলার প্রাচীন স্থাপনা গুলোর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থাপনা গুলো সম্পর্কে লিখবো।
রথ মন্দির রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাই অবস্থিতো।পুঠিয়াই ১৩ টি মন্দির রয়েছে তার মধ্যে এটিএকটি ।
এই মন্দির টি ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ নির্মান করা হয়েছে ।
তবে কারো কারো মতে এই মন্দির ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে রানী ভূবনময়ী নির্মাণ করেন বলে জানা যায়।এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
রাজশাহী জেলা শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরে এই মন্দির টি অবস্থীতো ।
এই মন্দিরে ৮ টি পিলার রয়েছে ।মন্দির টি চুন শুড়কি দিয়ে তৈরি ।
প্রাচীন স্থাপনার এক সুন্দর নিদের্শন এই মন্দির টি ।
জগদ্ধাত্রী মন্দির ঃ-
জগদ্ধাত্রী মন্দির বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা।এটি মূলত রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার অন্তর্গত ও বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
জগদ্ধাত্রী মন্দিরটি একটি প্রাচীন উঁচু আয়তাকার মন্দির। এর অভ্যন্তরে তিনটি কক্ষ আছে। মন্দিরটির উচ্চতা ৮ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৬.৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.৪৭ মিটার। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী। মন্দিরের দেয়ালে পলেস্তারার উপরে চিত্র লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরটি উনিশ শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করা হয়।
যদিও বর্তমানে মন্দিরের অবস্থান ধংশ্ব প্রায় কিছু ভাঙ্গা প্রাচীর রয়েছে এই যা।
শিব মন্দিরঃ-
কৃষ্ণপুর শিব মন্দির বা খিতিশ চন্দ্রের মঠ, পুঠিয়া, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাতে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
পুঠিয়া বাজার থেকে দেড় কি:মি: পশ্চিম দিকে ছোট এই মন্দিরটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এই স্থাপনাটিকে খিতিশ চন্দ্রের মঠ হিসাবে ডাকা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শিব মন্দির।
নির্মাণ শৈলির বিচারে এটি ১৮০০-১৮৭০ খ্রিষ্ঠাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
কেষ্ট ক্ষ্যাপার মঠঃ-
কেষ্ট ক্ষেপার মঠ বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা।এটি মূলত রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।পুঠিয়া রাজবাড়ী হতে দক্ষিণ পূর্ব কোনে ৫০০ গজ দূরে মঠটি অবস্থিত।
কেষ্ট ক্ষ্যাপার মঠটি একটি প্রাচীন চারকোণা মঠ। এর অভ্যন্তরে একটি কক্ষ রয়েছে।
ছোট আহ্নিক মন্দিরঃ-
এই মন্দির টি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা তে অবস্থিত ।
ছোট আহ্নিক মন্দির পুঠিয়া রাজবাড়ীর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে উত্তর দক্ষিণ দিকে লম্বালম্বি ভাবে এ মন্দিরের অবস্থান। ১৮শ খ্রিষ্টাব্দে প্রেম নারায়ণ কর্তৃক এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়।
রাজশাহী জেলা সদর হতে ৩২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে এর অবস্থান। এটি পাঁচ আনি রাজবাড়ির পূর্ব ভিটায় বর্তমান পুঠিয়া থানা ভূমি অফিসের (মহারানি হেমন্তকুমারীর বাসভবন) উত্তর-পশ্চিম কোণায় অবস্থিত এবং এর ঠিক উত্তর পাশেই পুঠিয়া রাজবাড়ীর অবস্থান।
এই দেয়ালা নানা রকম চিত্র অলংক্রত করা আছে ।অসাধারন স্থাপনা শৈলী যে কারোর মন কাড়বে।
প্রাচীন স্থাপনা গুলো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এগুলো রক্ষা করা এবং এগুলো সম্পর্কে জানানো জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি আমি।
তথ্য সূত্র ইন্টারনেট থেকে।
ধন্যবাদ সবাই কে।
রাজশাহী থেকে
উম্মে আল আসমা কেয়া।