দেশের আলোচিত ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পুরাতন দেনা শোধের কার্যক্রম খুব শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে এ সব কথা জানানো হয়।
ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে ইভ্যালি জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সমস্ত গেটওয়ের টাকা রিফান্ডের কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে সেপ্টেম্বর ১৪, ১৫ এবং ১৬, ২০২১ ইং তারিখে পেমেন্টকৃত গ্রাহকদের সকল তথ্য গেটওয়ে থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, যা দ্রুত ছাড়করণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনেকেই নিজ নম্বর ব্যবহার না করে বিভিন্ন নম্বর থেকে (যেমন বিকাশ, নগদ এজেন্ট কিংবা অন্য কারো কার্ড) পেমেন্ট করেছেন, তাই সবার সুবিধার্থে আপনাদের টাকা নির্ভুলভাবে প্রেরণের জন্য আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ/ভেরিফিকেশন করতে হচ্ছে। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা অনুযায়ী জুলাই ১, ২০২১ থেকে যাদের টাকা গেটওয়েতে আটকে আছে, তারা অনুগ্রহ পূর্বক নিচের দেয়া লিঙ্কে গুগল ফর্মটি পুরণ করুন। ফর্মে আপনার ট্রানজেকশন তারিখটি (ইংরেজিতে মাস/দিন/বছর) সঠিকভাবে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্রানজেকশন আইডি নম্বর দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসা পরিচালনাকালীন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, আমাদের দেনা আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার মতো। সম্পূর্ণ দেনার হিসাবের রিপোর্ট সংগ্রহ করার কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমরা ছয় মাস চেয়েছিলাম। গ্রেফতারের পর আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে প্রশ্ন করা হয়, গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা কোথায়? এই টাকা আমরা আত্মসাৎ করেছি কিনা? তখন কোনও অ্যামাউন্ট উল্লেখ না করে রাসেল জানান, টাকা আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। যাদের ডেলিভারি পেন্ডিং আছে তাদের টাকা মোট দায়ের হিসেবের মধ্যেই আছে। বিজনেস প্রফিট এবং বিনিয়োগ থেকে এই লস এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব ছিল, এখনও আছে। সেই স্টেটমেন্ট থেকে হয়তো সঠিক ও সম্পূর্ণ অডিট ছাড়াই ১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির কথা তারা উল্লেখ করেছেন। আমাদের দেনা কত সেটার সঠিক সংখ্যা অবশ্যই বলা সম্ভব। তবে সেটা সার্ভার রিকভারির ওপর নির্ভরশীল এবং কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে সহজেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। অনেকেই হয়তো অবগত আছেন, আগে ইভ্যালিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সমস্ত গেটওয়ের টাকা রিফান্ডের কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে সেপ্টেম্বর ১৪, ১৫ এবং ১৬, ২০২১ ইং তারিখে পেমেন্টকৃত গ্রাহকদের সকল তথ্য গেটওয়ে থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, যা দ্রুত ছাড়করণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনেকেই নিজ নম্বর ব্যবহার না করে বিভিন্ন নম্বর থেকে (যেমন বিকাশ, নগদ এজেন্ট কিংবা অন্য কারো কার্ড) পেমেন্ট করেছেন, তাই সবার সুবিধার্থে আপনাদের টাকা নির্ভুলভাবে প্রেরণের জন্য আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ/ভেরিফিকেশন করতে হচ্ছে। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা অনুযায়ী জুলাই ১, ২০২১ থেকে যাদের টাকা গেটওয়েতে আটকে আছে, তারা অনুগ্রহ পূর্বক নিচের দেয়া লিঙ্কে গুগল ফর্মটি পুরণ করুন। ফর্মে আপনার ট্রানজেকশন তারিখটি (ইংরেজিতে মাস/দিন/বছর) সঠিকভাবে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্রানজেকশন আইডি নম্বর দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
অনুগ্রহপূর্বক, প্রতিটি ট্রাঞ্জেকশনের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ফরম পূরণ করুন।
সময়সীমাঃ ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ইং, রোজ- সোমবার পর্যন্ত।
আশাকরি, যত দ্রুত সম্ভব রিফান্ড কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হবো। ইভ্যালির সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। গুগল ফর্ম লিঙ্কঃ https://forms.gle/nr7MParNbo1dRNQA8