শুধু এসএসসিওএমএমইআরজে পেমেন্ট গেটওয়ে আটকে থাকা বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মাত্র ১৩ জন গ্রাহকের ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন যাচাই বাছাই মাধ্যমে প্রথম ধাপে আটকে থাকা ইভ্যালির ৪ হাজার ১৪১ জন গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অন্য দুটি নগদ ও বিকাশের গেটওয়ে ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির একটি পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা ছাড় করতে পেরেছে। কিন্তু নগদ ও বিকাশে পেমেন্ট গেট ইভ্যালির গ্রাহকদের নিজস্ব ফোন নম্বর না থাকায় সেই টাকা ছাড় করতে পারেনি।
আমরা আশা করছি নগদ ও বিকাশ কর্তৃপক্ষ ইভ্যালির গ্রাহকদের টেলিফোন নম্বর পেয়ে গেছে, তারা এ টাকা ছাড় করে দেবে ।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি কয়েকমাসের মধ্যে ইভ্যালির গ্রাহকদের পেমেন্ট গেটওয়ের সব টাকা ছাড় করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় ইভ্যালির গ্রাহকদের বিকাশের কাছে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং নগদের কাছে ১৭.৬৯ কোটি টাকা রয়েছে ।
ইভ্যালির বর্তমান চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঁচটি গেটওয়েতে ইভ্যালির ২৫ কোটি টাকা আটকে আছে। শুনেছি একটা গেটওয়ের ১ লাখ ৪৫ হাজার ছাড় করা হয়েছে। এ টাকা ছাড় করার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গ্রাহকদের ছাড় করার তালিকা পাঠিয়েছিলাম।
এর আগে, সম্প্রতি ইভ্যালির পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকার পরিমাণ এবং গ্রাহক তালিকা চেয়ে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির ৫৫০ কোটি টাকার মতো দেনা রয়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রে প্তা র করা হয়। তবে রাসেল এখনও কারাগারে থাকলেও জামিন পেয়ে বের হয়ে আসেন তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন। তিনি পুনরায় কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।
এদিকে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর চালু হয় ইভ্যালি।