চড়ে মোর শখের ভেলায় যেতে চাই পাঁচ সাগরের জেলায় দিনাজপুর চাল লিচুর দেশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও আরো একটি ব্যাপারে অনেক প্রসিদ্ধ দিনাজপুর আর সেটা হল ৫ সাগরের জেলার জন্য। দিনাজপুরে আছে ৫টি সাগর। নাম সাগর হলেও প্রকৃতপক্ষে এগুলো এক একটি দিঘি। এত ই বিশাল বড় দিঘিগুলো যে নাম সাগর পড়ে গিয়েছে।
সুখসাগর
৫ সাগরের মধ্যে একটি সাগর হল সুখসাগর। সুখসাগর নামটি প্রকৃত অর্থেই নামের সার্থকতা বহন করে কারন বিকেলে মিষ্টি রোদ আর হাওয়ার যুগলবন্দীর সাথে দিঘির পাশে বসে থাকলে মনে অনাবিল সুখে ভরে ওঠে। দিনাজপুর শহরে ২ কিলোমিটার দূরে রাজবাটী নামক স্থানেই এই সুখসাগর অবস্থিত। সুবিশাল দিঘির আয়তন ২২.৪৪ একর। আগে যদিও দিঘি, গাছপালা, ছোট ছোট টিলা ছাড়া আর তেমন কিছু ই ছিল না তবে ৫-৬ বছরে সুখসাগরকে কেন্দ্র করে আশেপাশে গড়ে উঠেছে ইকো পার্ক।
ইকোপার্ক হওয়ার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। বাচ্চাদের সাধারণ রাইড, বসার ছাউনি, বেঞ্চ, রেস্ট হাউস, চা কফি, স্ন্যাক্স খাওয়ার জন্য বসার ব্যবস্থা ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে,প্রায় এক কোটি আটচল্লিশ লক্ষ বায়ান্ন হাজার টাকা খরচ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সুখসাগরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাছ, দর্শনার্থীদের মাছ মারার ব্যবস্থা ও রয়েছে। অনেক শৌখিন মানুষদের ই মাছ মারার বড় রকমের শখ থাকে তাদের জন্য খুব ই ভাল মনমত একটি জায়গা এই সুখসাগর। সুখসাগরকে পাখি অভয়াশ্রমে পরিনত করা হয়েছে যা জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শীতকালে অতিথি পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়। অতিথি পাখি দেখতে ও বনভোজনের উদ্দেশ্য আশেপাশের উপজেলা থেকে এসে অনেক মানুষ ভীড় করে। বিয়ের সময় গুলোতে ব্রাইডাল ফটোশুটের জন্য ও বেশ ভীড় দেখা যায়।
আসলে এত সুন্দর মনরোম একটি পরিবেশ যে এখানে ঘুরতে এলেই মন একবারে ফুরফুরে হয়ে যায়। মন খুব খারাপ থাকলে বা অশান্ত হয়ে পড়লে দিঘির পাড়ে এসে বসি তখন অনেক ভাল অনুভব করি।
রামসাগর
দিনাজপুরের ৫টি সাগরের মধ্যে রামসাগর অন্যতম। অন্যতম হওয়ার কারন এটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন৷ দিনাজপুর জেলার সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে এই সাগর অবস্থিত। ধারণা করা হয় ১৭৫০ সালের দিকে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। সুবিশাল এই দিঘি প্রায় ৭৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত আর পুরো এলাকা প্রায় ১৪৭ একর এবং গভীরতা প্রায় ৩০ ফুট আর রামসাগরের পাশে সুসজ্জিত রয়েছে সারি সারি গাছ, ১৫২ প্রকৃতির গাছ দিয়ে সুশোভিত রামসাগর। দিঘির জলে যখন গাছের প্রতিফলন পড়ে তখন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য সৃষ্টি হয়। ১৯৬০ সালে রামসাগর বনবিভাগের আওতায় আসে। ১৯৯৫ সালে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আধুনিকতার ছোয়ায় সাজানো হয়। ২০০১ সালে রামসাগরে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
রামসাগর নিয়ে রয়েছে এক লোককাহিনি। ১৭৫০ সালের দিকে দিনাজপুরের রাজা ছিলের রাজা প্রাণ নাথ। সেসময় এই এলাকায় খরা দেখা গিয়েছিল। সুপেয় পানির অভাবে প্রজারা মারা যাচ্ছিল তাই রাজা উনার প্রজাদের বাচাতে এই দিঘি খনন করেছিলেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজা প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক লাগিয়ে সেই আমলের প্রায় তিরিশ হাজার টাকা খরচ করে এই বিশাল দিঘি খনন করিয়েছিলেন কিন্তু এত গভীর খনন করার পর ও পানি উঠছিলনা। এজন্য রাজা বড্ড চিন্তিত ছিলেন। পরে রাজা স্বপ্নে দেখলেন যে উনার পুত্র রাম কে বলি দিলেই সেখানে পানি উঠবে। পিতার এই প্রস্তাবে প্রজাদের দুঃখের জন্য রাজপুত্র রাম রাজি হয়ে যান। দিঘির মাঝখানে একটি ছোট মন্দির বানানো হয়। একদিন রাজপুত্র রাম সাদা পোষাক পড়ে দিঘির সিড়ি বেয়ে নিচে মন্দিরে নেমে যান আর সাথে সাথে পানি উঠতে শুরু করে। রাজপুত্রের এই আত্মদানের কাহিনী সবার মুখে মুখে প্রসিদ্ধ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এখানে এসে স্নান করে পূজা করে রাজপুত্র রামের আত্মার শান্তির জন্য। রাজপুত্র রামের আত্মদানের জন্যে ই উনার নামে এই দিঘির নামকরণ করা হয়।
নীলাভ জলরাশি ও সবুজ নিকুঞ্জ কানন,
কেড়ে নেয় অগনিত ভ্রমন বিলাসীর মন।
রামসাগরে টিকিট কেটে প্রবেশের গেটেই এই লিখাটি দেখতে পাবেন। ভেতরে ঢুকেই পুরো এলাকা ঘুড়ে দেখার জন্য রয়েছে ভ্যানের ব্যবস্থা। ভ্যানে চড়ে সুন্দর করে চারপাশ দেখতে দেখতে যেতে পারবেন। দিঘি এবং চারপাশে গড়ে ওঠা বন ছাড়াও এখানে অনেক কিছু রয়েছে দেখার।পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে নানা রকমের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতকালে এখানে অতিথি পাখির মেলা বসে সেগুলো দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে এখানে। পিকনিকের জন্য দারুণ একটি জায়গা। দূর থেকে আসা পর্যটক দের জন্য সুন্দর দোতালা রেস্টহাউসের ব্যবস্থা রয়েছে। রেস্ট হাউসের পাশেই রয়েছে বড় সড় এলাকা তারের বেড়া দিয়ে ঘেড়া। সেখানে অনেক গুলো হরিন ছেড়ে রাখা হয়েছে, হরিনের পাশাপাশি কিছু বানর, অজগর সাপ ও রয়েছে,মিনি চিড়িয়াখানা বলা যেতে পারে। দর্শনার্থীরা খাবার কিনে তাদের খাইয়ে বড়ই আনন্দ পায়। সেখান থেকে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন শিশু পার্ক, সেখানে রয়েছে কৃত্রিম জীব জন্তুর মূর্তি, বিভিন্ন রাইড। বাচ্চারা শিশু পার্কে গেলে অনেক মজা পায়। সাগরে নৌবিহারের ও ব্যবস্থা রয়েছে। নৌকায় চড়ে পুরো দিঘি ঘুরে এলে এক অন্যরকম শান্তি অনুভব করবেন। ক্ষুধা পেলে খেয়ে নিতে পারেন চটপটি, ফুচকা। সারি সারি অনেক অস্থায়ী দোকান রয়েছে। দিঘির পাড়ে কংক্রটের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ মায়াজালে ডুবে যাবেন। রামসাগরে গেলে একটি জিনিস ছাড়া ফিরে এলে পুরো ট্যুর টাই অপূর্ণ থেকে যাবে আর সেটা হল তাল পাতার বানানো ফুলের বুকে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আপনাদের দেখলে ই দৌড়ে এসে কেনার জন্য আবদার করবে আর তাদের মুখ দেখলে আপনি না কিনে ফিরতে পারবেন না। এত সুন্দর মিষ্টি হাসি বাচ্চাগুলোর। আশেপাশের স্থানীয় গ্রামের বউরা এগুলো বানায় আর তাদের বাচ্চাদের দিয়ে বিক্রি করায় যে কটা টাকা আয় হয় সেটাই লাভ।রামসাগরের স্মৃতি হিসেবে থেকে যায় এগুলো। এখানে আরেকটা দেখার মত জিনিস আছে সেটা হল এক প্রত্নতাত্ত্বিক মন্দির। মেরামতের অভাবে মন্দিরটির অবস্থা অত্যন্ত করুণ তবুও মন্দিরটি জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় এখনো দাড়িয়ে রয়েছে।
রামসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এই সুবিশাল দিঘি হতে পারে পর্যটনের বড় সড় আয়ের উৎস যদি একে ই কমার্সের মাধ্যমে ভাল ভাবে প্রমট করা হয়৷
জুলুম সাগর
এই দিঘি আয়তনে বাকি সাগর গুলো থেকে ছোট। প্রায় ৮৪৩ শতক জায়গা জুড়ে এই সাগর বিস্তৃত। জুলুম সাগর দিনাজপুরের বড় মাঠ নামে খ্যাত গোরে শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই সাগরের নাম যে জুলুম সাগর এটা অনেকদিন পর আমি জানতে পারি যখন দিঘি কে কেন্দ্র করে রেস্টুরেন্ট বানানো হয়।কৃষ্ণকলি রেস্টুরেন্ট এই দিঘির পাশেই। মাটির রাস্তা কেটে বানানো সিড়ি বেয়ে নিচে নামার ব্যবস্থা রয়েছে, নিচে নামলে দিঘির পাড়ে বসে বিকালের হালকা নাস্তা খেতে পারবেন। খুব সুন্দর খড়ের ছাউনি দেয়া বসার জায়গা রয়েছে উপরে এবং নিচে উভয় দিকেই।
হয়তো এখনো অনেকের অজানা এটা যে জুলুম সাগর। জুলুম সাগরের নামকরণের পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসনামলে জেলখানার কয়েদি ও সাধারণ মানুষ দের উপর অত্যাচার বা জুলুম করেই এই দিঘি খনন করা হয়েছিল এজন্য ই নাম পড়েছে জুলুম সাগর। জুলুম সাগরের পাশেই একসময় ছিল রাজাদের বানানো জুলুম প্রাসাদ। এই প্রাসাদ নাকি পরবর্তীতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। পড়ন্ত বিকেলে এই দিঘির পাড়ে বসে সূর্যাস্ত দেখার মধ্যে এক অন্যরকম শান্তি অনুভব হয় আর সাথে ধোয়া ওঠা এক কাপ কফি থাকলে মন্দ নয়। তবে দিঘির অবস্থা বেশ খারাপ বলা চলে। অযত্নে শ্যাওলা জমে দিন দিন নিজ জৌলুস যেন হারাতে বসেছে।
মাতাসাগর
দিনাজপুর সৃষ্টিকর্তার যেন আশীর্বাদস্বরুপ।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের রসে পূর্ণ আমাদের জেলা। সুখসাগরের উত্তর দিকে শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত মাতাসাগর। সাগর নাম হয়েছে বিশালতার জন্য। প্রায় ৪৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই দিঘি। আম্মু প্রায় সময় ছোটবেলায় এখানে ঘুরতে নিয়ে যেত। ছোট বেলার স্মৃতিগুলো ভেসে উঠল।
রামসাগরের মত এই দিঘি ও আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। সম্ভবত সপ্তদশ শতকে তৈরি এই দিঘি। সেসময় এই এলাকায় এক প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন নাম তার সুখদেব। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব উনাকে মহারাজা উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। খুব ই ভাল ছিলেন তিনি, নিজ প্রজাদের কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য ই তিনি এই দিঘি খনন করেছিলেন। মাকে তিনি অনেক বেশি ভালবাসতেন, ভালবেসে দিঘিটি মায়ের নামেই উৎসর্গ করেছিলেন তাই দিঘির নাম হয়েছিল মাতাসাগর। ধারণা করা হয় সুখসাগর তার নামেই রাখা।
টলটলে জল থইথই করে আর পাশে সবুজ গাছ গাছালির সারি, এর মাঝে যেন প্রকৃতিপ্রেমীর মন যেন দিশা হারিয়ে ফেলে। ছোট ছোট টিলা গুলো যেন আরো বেশি সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে আশেপাশের। ধবধবে সাদা বক দেখা যায় মাছ ধরে বেড়াচ্ছে আর শীতকালে অতিথি পাখিদের আগমন আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। বিকেলের আড্ডার জন্য দারুণ সুন্দর মনরোম পরিবেশ ঘেড়া একটা জায়গা। একসময় অনেক জাকজমক ছিল দিঘিটা কিন্তু অযত্নে দিন দিন নিজ রূপ যেন হারিয়ে ফেলতে বসেছে মাতাসাগর। দিঘিতে লিজ নিয়ে ইদানীং মাছ চাষ করা হয়। লিজ নেওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ তেমন আর যায় না ঘুরতে অথচ এত সুন্দর জায়গায় একটু নজর দিয়ে পর্যটক আকর্ষনের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ালে অনেক পর্যটক টানতে সক্ষম।
আনন্দ সাগর
দিনাজপুরের রাজবাড়ী থেকে প্রায় ৫ মিনিট হেটে যাওয়ার দূরত্বে সুখসাগর অবস্থিত। সুখসাগর শহরের এক মাথায় আর আনন্দ সাগর আরেক মাথায় অবস্থিত। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের উত্তর দিকেই অবস্থিত আনন্দ সাগর। সুখসাগরের কথা প্রথমেই উল্লেখ করলাম কারণ সুখসাগরের সাথে আনন্দসাগরের একটা পুরনো সম্পর্ক ছিল আজ থেকে শত শত বছর আগে। দিনাজপুরের রাজা রামনাথ তার রানীর সাথে প্রায়ই নৌবিহার ভ্রমন করতে ভালবাসতেন প্রায় দিন ই তারা পানিপথে রাজকীয় সোনার নৌকায় চড়ে এই দিঘিতে চলে আসতেন বেড়াতে । তাদের এই আনন্দ ভ্রমনের জন্যেই এই দিঘির নাম আনন্দ সাগর হয়েছিল।
এখন যদিও সুখসাগর ও আনন্দসাগরের মধ্যে পানি পথে কোন সংযোগ নেই তবে সেসময় সুখসাগর থেকে আনন্দ সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছিল রামাদারা নামক একটি সরু নালা যা সুখসাগর থেকে আনন্দসাগর অব্দি বিস্তৃত ছিল।এখন জায়গায় জায়গায় মাটি ভরাট করে বসতি গড়ে উঠায় সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে সেই নালার কিছু কিছু অংশ এখনো বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। দিঘির পাড় গুলো ধসে গিয়েছে, মৎস্য চাষিরা এই দিঘিতে মাছ চাষ করে। আরিফা মডেলের অবদানে আজ প্রথম গেলাম আনন্দসাগরে আর গিয়ে হতাশ নয়নে চেয়ে রইলাম কিছুক্ষন যে এমন মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আজ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এমনকি দিনাজপুরের অনেক মানুষের কাছেই হয়েতো এই দিঘি অপরিচিত।
প্রায় সাত একর বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী এই দিঘি তার রূপ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে অযত্ন অবহেলায়। সংস্কার, সঠিক প্রচারের অভাবে মাতাসাগর, জুলুমসাগর আর আনন্দসাগর আজ বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে অথচ দিনাজপুরের পর্যটন শিল্পে এই ৫ দিঘি বেশ ভাল অবদান রাখতে পারে।
লেখক : খুরশিদা ইসলাম রুকু, স্বত্বাধিকারী : ঘরকুনো সিনজিনি।