রাজশাহীজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ-রাজশাহী কলেজ।
শিক্ষা নগরী রাজশাহী তে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীন তম কলেজ।
রাজশাহী কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীন কলেজ।
রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৭৩ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।এই সরকারি কলেজ,১৪৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠীত।প্রতিষ্ঠাতা,রাজাহরনাথরায়চৌধুরী
বাংলাদেশে এই কলেজ হতেই সর্বপ্রথম মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়।
কলেজ টি রাজশাহী শহরের প্রান কেন্দ্র ও রাজশাহীর প্রথম প্রতিষ্ঠিত স্কুল কলেজিয়েট স্কুলের পাশে এজন্য এই কলেজের নাম রাজশাহী কলেজ নাম করন করা হয়েছে।
১৮৭৮ সালে এই কলেজকে প্রথম গ্রেড মর্যাদা দেয়া এবং “রাজশাহী কলেজ” নামে নামকরণ করার সাথে সাথে একে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত করে এখানে বি.এ. কোর্স চালু করা হলে উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ। ১৮৮১ সালে এই কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণীর উদ্বোধন করা হয় এবং ১৮৮৩ সালে যোগ হয় বি.এল কোর্স।
পূর্ব পাকিস্তানে রাজশাহী কলেজ প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ অধিভুক্ত হয় এবং পরে ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়।
১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হলে এর অধীনে এই কলেজে ১৯৯৪ সালে মাস্টার স্তরের কোর্স পুনরায় চালু হয়।
১৮৭৩ সালে কলেজিয়েট স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের মর্যাদা দেয়া হয় এবং একই বছর ৫ জন হিন্দু ও ১ জন মুসলমান ছাত্রসহ মাত্র ছয় জন ছাত্র নিয়ে কলেজিয়েট স্কুলের সঙ্গে চালু হয় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর।
১৯৯৬ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোর্স বন্ধ থাকলেও এই অঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনরায় চালু করা হয়।
এই কলেজে অনেক প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে।যদিও অনেক নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
তবে প্রাচীন স্থাপনা গুলো ও রয়েছে এখনো।
আমি এই কলেজের রাষ্ট্রবিঙ্গান বিভাগের ছাত্রী হওয়ার সুবাদে এই কলেজে কেটেছে আমার অনেক গুলো বছর ও সুন্দর সময়।
রাজশাহীর প্রাচীন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রাজশাহী কলেজ একটি।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল।।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ১৮২৮ সালে মানে পূর্ব বাংলা মানে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত।
এই বাংলার মানুষ যাতে ইংরেজি শিখতে পারে তার জন্য এই স্কুল স্থাপন করা হয়।
ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে উইলিয়াম বেন্টিংক এর উৎসাহ প্রদানের ফলে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল নামে এটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৮৭৩ সালে স্কুলটির নতুন নামকরণ করা হয় কলেজিয়েট স্কুল।
পদ্মানদীর তীরে বড়কুঠির কাছাকাছি খড়ের দোচালা ঘরের বারান্দায় এর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিকে এটি ছিল একটি অবৈতনিক ব্যক্তিগত বিদ্যালয়। সেসময় বিদ্যালয়ের জন্য কোন সরকারী সাহায্য বরাদ্দ না থাকায় রাজশাহীতে বসবাসকারী ইংরেজ কর্মকর্তা, আইনব্যবসায়ী এবং নাটোর দিঘাপতিয়া, দুবলহাটি, পুঠিয়া ও বলিহারের জমিদারদের সাহায্য ও সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি চলতে থাকে।
তৎকালীন শিক্ষা বিস্তারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উইলিয়াম অ্যাডাম ১৮৩৫ সালে নাটোরে শিক্ষা জরিপ শেষে রাজশাহী বউলিয়া স্কুল পরিদর্শনের পর সরকারের কাছে বিদ্যালয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরলে ১৮৩৬ সালে ২০ জুন বিদ্যালয়টিকে সরকারীকরণ করা হয় এবং এটি রাজশাহী জেলা স্কুল হিসেবে অধিগ্রহণ করে। রাজশাহীর সারদা প্রসাদ বসুকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই বছর স্কুলের মোট ছাত্র ছিল ৮৩ জন, যারমধ্যে ৭৮ জন হিন্দু, ২ জন মুসলমান এবং ৩ জন খ্রীষ্টান।
১৮৫০ সালে প্রথমবারের মত উঁচু শ্রেণীর মাথাপিছু ১ টাকা হারে বেতন ধার্য করা হয়। ফলে ছাত্র সংখ্যা কিছু কমে যায়। ১৮৪৪ ও ১৮৪৫ সালে ১ জন করে মোট ২ জন এবং ১৮৪৭ সালে তিন জন ছাত্র জুনিয়র বৃত্তিলাভ করে। ১৮৪৯ সালে বিদ্যালয়ে একটি প্রশস্ত পাকা ভবন নির্মিত হয়। ১৮৫৭ সালে ছাত্রসংখ্যা হয় ১৪৬ জন। সেই সময় কোন শিক্ষা বোর্ড ছিল না। অবিভক্ত বাংলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রবেশিকা (বর্তমান এস.এস.সি.) পরীক্ষা হতো। ১৯৫৮ সালে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। সেই বছরই মেধাবী ছাত্র মোহিনীমোহন চক্রবর্তী প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ টাকা মেধা বৃত্তি লাভ করে। এসময় ছাত্র বেতন বৃদ্ধি করা হয় ২ টাকা। সে বছর বিদ্যালয়ে ছাত্র ছিল ২১৫ জন।
একসময় নদী ভাঙ্গনে এই স্কুল হারিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ১৮৬২ সালে বিদ্যালয়টির বর্তমান জায়গায় কয়েকটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়।
বর্তমানে এই স্কুলের অনেক সংস্থার করা হয়েছে।
এখন ও এই স্কুল ধরে রেখেছে তার ঐতিহ্য।
তথ্য সূত্র ইন্টারনেট থেকে
রাজশাহী থেকে
উম্মে আল আসমা